হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার দেশের বিরুদ্ধে ইরাকের সাবেক সাদ্দাম সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ শুরুর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি সম্প্রতি ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের এক সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী তার ভাষণে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের রাজনৈতিক আকর্ষণ অর্থাৎ আধিপত্যকামী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে এই বিপ্লবের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি এই বিপ্লবের আধ্যাত্মিক আকর্ষণের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি ফিলিস্তিন ও লেবাননের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে চলমান যুদ্ধকে ইরানের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন এবং এ যুদ্ধকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন নামক একটি মুসলিম দেশ নিকৃষ্টতম কাফিরদের হাতে দখল হয়ে আছে। এ অবস্থায় শরিয়তের বিধান হচ্ছে, মুসলমানরা ফিলিস্তিন ও আল-আকসা মসজিদ মুক্ত করে এগুলোর প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।
ইসলামি বিপ্লবের নেতা আরও বলেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ শুধুমাত্র গাজাবাসীকে সমর্থন করতে গিয়ে নিজের ওপর বিপদ ডেকে এনেছে। কাজেই হিজবুল্লাহ যে পথ বেছে নিয়েছে সেটি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের পথ।
তিনি ফিলিস্তিন ও লেবাননের চলমান যুদ্ধকে আরো একটি দিক দিয়ে পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, চলমান যুদ্ধেও কাফির ও নাপাক শক্তির কাছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে আর ইহুদিবাদী শত্রুকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার জন্য আমেরিকা এক পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কাজেই আমেরিকা এখন যে দাবি করছে যে, ইহুদিবাদীদের গণহত্যা ও বর্বরতা সম্পর্কে কোনো তথ্য তার জানা নেই এবং সে গাজা যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করছে না, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
ইহুদিবাদী শত্রু র হাতে অর্থ, অস্ত্র ও প্রচারযন্ত্র রয়েছে বলে উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মুমিন ও মুজাহিদদের কাছে যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে তা প্রতিপক্ষের তুলনায় অতি সামান্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ যুদ্ধে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী অর্থাৎ ফিলস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ও লেবাননের হিজবুল্লাহ বিজয়ী হবে।
অপরাধী ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সম্ভাব্য পরাজয়ের কারণও ব্যাখ্যা করেন ইমাম খামেনেয়ী। তিনি বলেন, আবাসিক বাড়ি, স্কুল ও কলেজে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের গণহারে হত্যা করার কারণেই তাদের পরাজয় হবে। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরাজিত করতে পারত তাহলে তাদেরকে এরকম জঘন্য যুদ্ধাপরাধ করতে হতো না।