হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৩ দিনে লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে লেবাননে পূর্ণদমে হামলা শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায় যে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত-সংলগ্ন গ্রামগুলোয় হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমিত স্থল অভিযান শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে স্থল বাহিনী প্রবেশ করেছে।
এদিকে ইসরায়েলের স্থল আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এই স্থল অভিযান প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির উপপ্রধান নাঈম কাসেম।
সোমবার জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব সংগঠনের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় নতুন প্রধান নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। খবর আল জাজিরা।
তিনি আরও বলেন, "আমরা প্রস্তুত, ইসরায়েলিরা যদি স্থল আগ্রাসন চায়, তাহলে প্রতিরোধ বাহিনী তার জন্য প্রস্তুত।"
ইসরায়েল লেবাননের সর্বত্র হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে জানিয়ে নাঈম কাসেম বলেন, লেবাননে এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে ইসরায়েলের আগ্রাসনের ছাপ পড়েনি। তারা যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়ছে না; বরং হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।
এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও জড়িত জানিয়ে কাশেম বলেন, "ইসরায়েলকে সীমাহীন সামরিক সহায়তা দিয়ে দেশটির অংশীদারে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভাষণের শেষের দিকে বিজয়ের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, "আমরা জিতব, যেভাবে আমরা ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সাথে লড়াইয়ে জিতেছিলাম।“
ইসরায়েলি রাজনৈতিক নেতাদের অনুমোদনের পরপরই লেবাননে স্থল অভিযান চালাল দেশটির সামরিক বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের লড়াই নতুন মাত্রা পেল।