۲۷ مهر ۱۴۰۳ |۱۴ ربیع‌الثانی ۱۴۴۶ | Oct 18, 2024
ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলা থেকে প্রতীয়মান হয় যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র  হচ্ছে  অতিরিক্ত কল্পিত হুমকি
ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলা থেকে প্রতীয়মান হয় যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র  হচ্ছে অতিরিক্ত কল্পিত হুমকি

হাওজা / ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলা থেকে প্রতীয়মান হয় যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র  হচ্ছে ( ইরানী ) অতিরিক্ত কল্পিত হুমকি ( এবং তা কার্যকর কিছু নয় ) ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলা থেকে প্রতীয়মান হয় যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে ( ইরানী ) অতিরিক্ত কল্পিত হুমকি ( এবং তা কার্যকর কিছু নয় ) ।
ইসরাইলের ওপর ইরানের ব্যর্থ হামলা প্রদর্শন করছে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেমন আশ্চর্য জনক কিছু নয় । - বিজিনেস ইনসাইডার
বিজিনেস ইনসাইডারের এ প্রতিবেদন সংক্রান্ত মন্তব্য :
আসলে ১লা অক্টোবরে ইরানের এই হামলা যদি কার্যকর কিছু হয়ে না থাকে বরং ব্যর্থ ও ফালতুই হয় তাহলে ইসরাইলে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কেন পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সর্বাধুনিক ও সবচেয়ে ব্যয়বহুল থড সিস্টেম জরুরি ভিত্তিতে এই কয়েকদিন আগে পাঠিয়েছে ও মোতায়েন করেছে ? এ যেন মশা মারতে কামান দাগান । যদি ইরানী ক্ষেপণাস্ত্র ফালতু ও অকার্যকর হয় তাহলে এত সর্বাধুনিক ব্যয়বহুল থড্ অ্যান্টি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করার কোনো মানেই হয় না । ইসরাইলের অ্যারো ও মার্কিন প্যাট্রিয়ট যা আগে থেকেই ইসরাইলে বসানো রয়েছে সেগুলোই তো যথেষ্ট ছিল। (ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র)
আসলে যাতে এ হামলার কারণে বিশ্ব অস্ত্র বাজার ও বাণিজ্যে ইরানী ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রের কদর , বাজার ও চাহিদা না বাড়ে সেজন্য সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক বাণিজ্যিক স্বার্থে ইসরাইল , মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও পশ্চিমারা এ সব কথা বলছে এমনকি ইরানী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের বিশাল ক্ষয়ক্ষতি চেপে গিয়েও । আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে ধরেও নেই যে ইরানী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি বা হলেও তা খুবই সামান্য তাহলে ইসরাইল কেন ইরানে পাল্টা প্রতিশোধ মূলক হামলার কথা বলছে ? ব্যাপক ক্ষতির কারণেই তো ইসরাইল ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর কথা বলছে। তাই না । কিন্তু ইরান বলেই রেখেছে: ইসরাইল যদি হামলা চালায় তাহলে ইরান ইসরাইলে আরও ব্যাপক ও মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে । মাযুরা ও ইসরাইল ভালো করেই জানে যে ইসরাইল হামলা চালালে ইরান ছাড়বে না । আর সে ভয়েই হামলা চালানোর ব্যাপারে ইসরাইল চিন্তা ভবনা করছে।
বোধ হয় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ইসরাইল ইরানে হামলা চালাতে নাও পারে এবং সে ক্ষেত্রে ইসরাইল বলবে যে যেহেতু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের তেমন ক্ষতি করতে পারে নি সেহেতু ইসরাইল হামলা চালাচ্ছে না !!! ( আর এ ভাবে ইসরাইল তার মান ইজ্জত রক্ষা করার চেষ্টা করবে । )
আর ইরানী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যদি অকার্যকর হয় তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কথিত ও কল্পিত বিক্রির ব্যাপারে পশ্চিমারা ও মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কেন এত হৈচৈ, চিৎকার , শোরগোল ও কান্নাকাটি করেই যাচ্ছে ?
ইরানী অস্ত্র , ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যদি ফালতু ও অকার্যকর হয় তাহলে রাশিয়া কেন ইউক্রেনের মুক্তাঞ্চলে ইরানী শাহেদ ড্রোন উৎপাদন করতে যাচ্ছে ?!!
( দেখুন : https://www.kyivpost.com/post/40423 )
স্মর্তব্য যে ইউক্রেন যুদ্ধের বহু আগেই ইরান রাশিয়াকে ড্রোন প্রযুক্তি সরবরাহ করেছিল । অতএব ইরানী সমর প্রযুক্তি , অস্ত্র , ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে পশ্চিমারা আসলে ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক স্বার্থেই অপপ্রচার চালাচ্ছে যাতে ইরানী অস্ত্র , ড্রোন , ক্ষেপণাস্ত্র ও সমর প্রযুক্তি বিশ্ব অস্ত্র বাজার ও বাণিজ্যে পশ্চিমাদের সাথে ভাগ বসাতে না পারে। তবে বিশ্বের ২য় সামরিক পরাশক্তি রাশিয়া যে ইরানী সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তা থেকে প্রতীয়মান হয়ে যায় ইরানী অস্ত্র , ড্রোন , ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তির কার্যকারিতার বিষয়। স্মর্তব্য যে ইরানী সমর প্রযুক্তি, অস্ত্র , ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নত ও কার্যকর তবে পশ্চিমা ও প্রাচ্য দেশ সমূহের সমর প্রযুক্তি , অস্ত্র , ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি সস্তা যা গরীব ও দুর্বল দেশ ও জাতি সমূহ ইরানী প্রযুক্তি , অস্ত্র , ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় ও আহরণ করে নিজেদেরকে পশ্চিমা, মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং অন্যান্য সম্প্রসারণশীল ও আধিপত্য কামী পরাশক্তির মোকাবেলায় কার্যকর আত্মরক্ষা ও প্রতিরক্ষামূলক বূহ্য তৈরি করতে সক্ষম হবে। আর ইরান এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে প্রচুর লাভবানও হবে । এর ফলে বিশ্ব জুড়ে ইরানের ভালো ইমেজ ও প্রভাব গড়ে উঠবে এবং ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ও মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আরোপিত তাহরীম (নিষেধাজ্ঞা) ও হিসার ( অবরোধ) বহুলাংশে অকার্যকর ও ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই এ সব নানাবিধ কারণেই মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও বিজিনেস ইনসাইডারের মতো তল্পি বাহকরা ইরানী ড্রোন , অস্ত্র , ক্ষেপণাস্ত্র ও সমর প্রযুক্তির অকার্যকারিতার কথা এত ফলাও করে ঢাকঢোল পিটিয়ে জোরেশোরে প্রচার করছে ।
রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .