হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রয়াত হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মরদেহকে গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির করতে ‘দর কষাকষির’ কাজে ব্যবহার করতে চায় ইসরায়েল।
গত বুধবার গাজার রাফার তেল সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে প্রাণ হারান সিনওয়ার। হত্যার পর সিনওয়ারের মরদেহ বর্তমানে ইসরায়েলের একটি গোপন স্থানে রাখা হয়েছে। এছাড়া এই মরদেহের বদলে জিম্মি মুক্তি করাই ইসরায়েলের প্রথম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছে খবর মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। ইসরায়েলি সূত্রের ভিত্তিতে সিএনএন বলছে, ‘শুধুমাত্র জিম্মিদের বিনিময়ের মাধ্যমেই সিনওয়ারের মরদেহ গাজায় ফেরত নেওয়ার একমাত্র উপায়। অন্যথায় তার মরদেহ কখনই গাজায় হস্তান্তর করা হবে না।’
এক সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, “যদি হামাস সিনওয়ারের মরদেহের বিনিময়ে জীবিত এবং মৃত ইসরায়েলিদের ফেরত দিতে রাজি থাকে, তাহলে এটি ভালো।”
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে সিনওয়ারের মরদেহ গাজায় ফেরত দিলে হামাস সমর্থকদের সমাবেশের ঝুঁকি রয়েছে। যদি সিনওয়ারকে গাজায় নিয়ে কবরস্থ করা হয় তাহলে সেটিকে ঘিরে মাজার তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
এদিকে সিনওয়ারকে হত্যার পরই দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, যদি হামাস অস্ত্র ফেলে দিয়ে তাদের জিম্মিদের ছেড়ে দেয় তাহলে যুদ্ধ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে গতকাল শুক্রবার হামাস জানিয়েছে, গাজায় আগে ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ ও তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যেতে হবে। এরপরই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। আর নয়ত কোনো জিম্মি ছাড়া পাবে না।