হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গত শুক্রবার ভোরে ইরানে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের হামলার কথা ইঙ্গিত করে বলেছেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েল দুই রাত আগে একটা অপরাধ করেছে। এ ক্ষেত্রে ইরানি জাতির শক্তি, ইচ্ছা-উদ্যম এবং উদ্যোগ-উদ্ভাবনের বিষয়টি তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকেই এটা তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে।”
তিনি ইসরায়েলের অপরাধের জবাব দেয়ার প্রতি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত করে বলেন, “ইহুদিবাদীদের সামনে শক্তি তুলে ধরার মান-ধরণ কেমন হবে সে বিষয়টি আমাদের কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন এবং দেশ ও জাতির জন্য যা কল্যাণকর তা করবেন।”
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর শহীদদের পরিবারের একদল সদস্য আজ (রোববার) সকালে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজা ও লেবাননে যা করছে তা নৃশংসতম যুদ্ধাপরাধ। যুদ্ধ একটা কঠিন বিষয়, তবে এর নিয়ম, আইন এবং সীমা-পরিসীমা রয়েছে। এটা এমন নয় যে, কেউ যখন কারো সাথে যুদ্ধ করবে তখন সে সব সীমা লঙ্ঘন করবে।
তিনি ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজা এবং লেবাননে অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে গোটা বিশ্বকেই ইহুদিবাদী (জায়নবাদী) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নিকৃষ্ট ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিক জোট গঠন করতে হবে। ইহুদিবাদী ইসরাইল সবচেয়ে নৃশংস যুদ্ধাপরাধ করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে সামান্যতম সাহায্য করাও সবচেয়ে নিন্দনীয় এবং সবচেয়ে বড় পাপ।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বকে রুখে দাঁড়াতে হবে, সরকারগুলোকে বিশেষ করে মুসলিম সরকারগুলোকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ব্যাপারটা ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে সাহায্য করা বা না করা নয়, অবশ্য এটাতো সবচেয়ে বড় পাপগুলোর একটি। বিষয়টা হলো, দখলদার ইসরায়েলের মোকাবেলায় রুখে দাঁড়াতে হবে যাতে তারা অপরাধ বন্ধ করে।